স্মৃতিসত্তার গান
সময়গুলো থমকে গেছে স্মৃতির কাছে
স্মৃতিগুলো চমকে চমকে উথলে ওঠে;
তোমার খামখেয়ালি সময় বিষণ্ন হয়
তোমার মধ্যদুপুর তাতানো রৌদ্রময়,
সুখ সকালে মায়াবী শিশির হাতবুলানো
তোমার স্মৃতি চমকে ওঠে তো চমকে ওঠে।
রিক্সাহুডে যন্ত্রণা অমরাবতী দিন
স্বপ্নশেষে নেতিয়ে পড়া মানগুলোতে
হেসে হেসে জমতে থাকে, জমতে থাকে-
অভিমানের এ শীর্ষকায়া প্রাণগুলোতে।
গেছে সবই, গেছে কী ভেস্তে এসব মায়া?
তুমি কেমন আছো ধল প্রহরে- ভুলে ছায়া।
মানগুলো কী আগের মতো তোমায় কাঁদায়?
সময়গুলো থমকে গেছে স্মৃতির কাছে-
স্মৃতিগুলোতো মূর্ত হয়ে থমকে গেছে।
যেখানে নেই- তুমি নেই, এই অমাবস্যা;
তবুও উঠে চাঁদ আকাশে নীলাভযামে-
নেই ক্ষতি ও মরাবাস্তব এ স্বপ্নধামে
যাই বায়ু স্মৃতির অমন আকাশ নীলা।
শব্দগণিত
অনেক হয়েছে লেখা- সবাই ফিরতে বলে,
কবিকে ফিরতে হয় নাকি শেকড়ের দিকে,
মাটি নিঙড়ানো রস এবং সালোকে জারকে
গাণিতিক সংখ্যা কষে প্রথা ছন্দ দোলদুলে-
মানুষ মজে ভালো, নৃত্যময় দুলিতে দুলিতে।
কবিতো উড়াল ঋষি- উপনিষদ বিহঙ্গ
ঠোকর দিয়ে তোলেতো সময় তরঙ্গ গান;
কিংবা দৃষ্টির বৈভবে ছুঁয়ে যায় ব্যর্থ তান,
ছন্দ সীমিত জলে হয় কী এ লীলা সঙ্গ?
সময় স্রোত তরঙ্গে শব্দভুক করে খেলা-
যেতে হয় দূরগামী দৃষ্টি প্রসন্ন রেখা
স্রোতের আগে হাল কেটে সময়ের ভেলা
টেনে যাপনে আপন মনে গদ্যেপদ্যে বেলা।
উৎপ্রেক্ষা চারিত্র্য দোষ যদি কাব্যে ফেলে-
উপমাকেই মা ডেকে যদি যায় হেলে দুলে;
কবিতা নিঠুরা নয়, সেতো ভীষণ লাজুক;
কবিকে ফেলে যাবে সে, দিব্যি যাই বলুক।
সেপ্টেম্বর নরম বিকেল
না নোবেল, বুকার, একুশে
কিংবা স্বাধীনতা পুরস্কারে,
তুমি আছো একক হৃদয়ে;
তোমাতেই জোড় বাঁধি শব্দে।
হে কবিতা ! অনন্য সহচরী।
দীর্ঘ দিন-রজনী প্রণয়ী!
স্বপ্নাচ্ছন্ন অমন এ ওমে
স্বরাঙ্গ তোমার অনুভবে,
ওঠে ভেসে যেমন আদল-
সেপ্টেম্বর নরম বিকেল।
এ সৃজনে কিংবা ও সিম্ফনী,
কিংবা সেই দুয়ো-সুয়োরাণী
তফাতের এ কষ্টের থোকা ;
গেয়ে যাও ‘ মাঝি বাইয়া যাও…
কোন কূলে? দরিয়ার মাঝে…
মায়াজালে শিল্পময় থাকা।