ফুলের উর্ধের কোনো সৌরভ
ছাপচিত্র চিনে তোমার নকশা আঁকতে চাই
লিওনার্দোর মনছাপ থেকে মুখচিত্রের
তুলিটি তুলবো
হলুদ রঙের দেহে লাল জড়িয়ে দিলেই তুমি কমলা
কিছু ফুল থেকে গন্ধ লুটে মেখে দিলে তুমিই তো মনোমুগ্ধ গোলাপ
তোমার গভীর থেকে সুরভিত দীর্ঘশ্বাস হবে
বাতাসের সুখ
তোমার দৃষ্টির ঘোরে অবলা ভোমর যদি হারায় হুঁশ
তবুও তুমিই থাকো অপরাজিত প্রজাপতি
না আমি তোমাকে ফুল নামে ডাকবো বলে বলছি না
আমি বলছি তুমি ঠিক ফুলের উর্ধের কোনো
মনোজব্দ সৌরভ
যাকে অনায়াসে বুকের ইজেলে প্রেমান্ধ জলরঙে
আঁকা যায়
মাঠের দূরত্ব থেকে রোদছাপ
বৃক্ষের ছায়ায় ডোবা পাতাছাপ
অসীম নৈশব্দ থেকে নীলছাপ
সবই তোমার চোখছাপের ঝুল
তুমি জলছাপ তুলে ঠোঁটছাপ এঁকে দাও পৃথিবীর মুখে।
চোখের নদী
এ আকাশ বৃষ্টিবিহীন মেঘের দেশের
এ মেঘের হৃদয়গুলো বৃষ্টি শেষের।
বুকে তার প্রাচীন বুকের নীল রাখানো
আদমের আনন্দ ও চোখ মাখানো।
দেখে খুব আপন আপন বুকের কাছের
সাদা মেঘ শরীর ভানে ইলিশ মাছের।
বাতাসের চুল ঝোলানো মেঘের ঝোলায়
রোদেলা পশম প্রাণের পাঁজর বোলায়।
জুলেখার চোখের নদী আকাশ গাঙে
স্মৃতি ঢেউ প্রেম যমুনার শরীর ভাঙে।
নীলিমার নীলাম্বরী হৃদয় ডেরায়
একাকী দৃষ্টি রেখে দৃষ্টি ফেরায়।
চে গুভার চোখও দেখি আকাশ পাড়ায়
তিতুমীর কেল্লা তোলে দ্র্রোহের তাড়ায়।
প্রীতি সেন স্বপ্ন বোনে স্বাধীন ডানার
আজাজিল বিপদ আনে ঘানি টানার।
চেতনার চিত্ত জ্বালায় অহমিকা
হাওয়া মন হাওয়ায় হাওয়ায় গড্ডালিকা।
লালসার জল প্রবাহে ডোবায় সাধন
অকথা কথার জোশে ভাঙে বাঁধন।
কে থাকে থাকার ঘরে একাই থাকুক
জীবনের জন্যে সবাই জীবন ডাকুক।