হায়দ্রাবাদ শহরের প্রতি আমার আগ্রহটা অনেক আগ থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যখন পত্র-পত্রিকায় কিংবা বিভিন্ন বই-পুস্তকে হায়দ্রাবাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য পড়তাম, তখন থেকেই হায়দ্রাবাদ ভ্রমণের আগ্রহ। গত বছর প্রথমবার ভারত সফরে সময়ের অভাবে আর হায়দ্রাবাদ যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এই বছর ব্যাঙ্গালুরুতে চিকিৎসার সময় হাতে তিন-চার দিন সময় পাওয়ায় মনস্থির করলাম এ সময়ে হায়দ্রাবাদ ঘুরে আসি। সাথে ছিলো ছোটভাই নাবিল। ওকে বলার সাথে সাথেই ট্রেনের টিকেট বুকিং দিলো। ব্যাঙ্গালুরু থেকে বিকাল ৪.২০ মিনিটের ট্রেনে চড়ে পুরো রাত জার্নি করে ভোর ৫টায় পৌঁছলাম ‘সিটি অব পার্লস’ নামে পরিচিত ছিমছাম ছোট্ট শহর হায়দ্রাবাদে। শহরটি স্রােতস্বিনী নদী মুসির তীরে অবস্থিত দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গনা রাজ্যর রাজধানী। মুঘল সা¤্রাজ্যর পূর্বেই ১৫৯১ খ্রিষ্টাব্দে কুতুব শাহি রাজবংশের পঞ্চম শাসক মুহম্মদ কুলি কুতুব শাহের হাতে ইতিহাসখ্যাত এই শহরটির গোড়াপত্তন।
জানা যায়, হায়দ্রাবাদ শহরে রাজধানী প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে থেকেই গোলকুণ্ডা দুর্গ থেকেই রাজকার্য চালানো হতো। দুর্গের ইতিহাস জানতে জানতে দুর্গ দেখার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। হাতে পুরো একটা দিন সময় রাখলাম গোলকুণ্ডা দুর্গপরিদর্শনের। যে গোলকুণ্ডা দুর্গ থেকে নেমে আসে হায়দ্রাবাদের পত্তন, সেই দুর্গ একবার নিজের চোখে না দেখলে এবং ভালোভাবে না জানলে বোধহয় হায়দ্রাবাদ ভ্রমণ অúূর্ণ রয়ে যাবে।
পরদিন খুব ভোরে রওয়ানা হলাম অনেক আকাক্সক্ষার গোলকুণ্ডা দুর্গের পথে। দুর্গটি হায়দ্রাবাদের পশ্চিমে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক দুর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায় ঘণ্টাখানেক যাত্রাপথ পাড়ি দিয়ে দুর্গে পৌঁছানোর পর অন্যরকম এক ভালো লাগায় আবিষ্ট হয়েছিলাম সেদিন। শত শত বছরের পুরনো ইতিহাস বুকে ধারণ করে আছে এ দুর্গ। ভালোবাসা, ধ্বংস, ক্ষয় আর বৈরি প্রকৃতির মাঝে থেকেও যা অবশিষ্ট আছে তা হলো অকৃত্রিম স্থাপত্যশৈলী। কুতুব শাহির শাসনামলের ঐতিহ্য আর প্রকৃতির রহস্যময়তায় আবৃত এক অনাবিল নান্দনিক স্থাপত্য।
মূল দুর্গে পৌঁছাবার অনেক আগে থেকেই রাজকীয় এই স্থাপত্য নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। দ্বাদশ শতকে ওয়ারংগলের কাকতীয় বংশের রাজা মাটি দিয়ে দুর্গ নির্মাণ করান। এটিই গোলকুণ্ডার প্রথম দুর্গ। এরপর কাকতীয়দের হাত থেকে বাহমনি সুলতানদের (১৩৪৬ থেকে ১৫১৮ খ্রি:) হাতে যায় এই দুর্গ। বাহমনি সুলতানদের আমলে এই দুর্গ গ্রানাইট পাথর দ্বারা নির্মিত হয়। বাহমনি সুলতানদের তেলেঙ্গানার সুবেদার ছিলেন কুলি কুতুব উল মুলক। তিনি পারস্য থেকে ঘোড়া বিক্রি করার জন্য এদেশে আসেন। কিন্তু বাহমনিদের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৫১৮ খ্রি: কুতুবশাহি রাজ্যের (১৫১৮ থেকে ১৬৮৭ খ্রি:) স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি রাজধানী গড়ে তোলেন এই গোলকুণ্ডায়। এরপর পঞ্চম সুলতান মুহম্মদ কুলি কুতুব শাহ ১৫৯০ খ্রি: গোলকুণ্ডা থেকে নেমে এসে হায়দ্রাবাদ শহরের পত্তন করেন। প্রথম দিকে তার প্রিয়া ভাগমতীর নাম অনুসারে শহরের নাম হয় ‘ভাগ্যনগর’। পরে হিন্দু মেয়ে ভাগমতী বেগম হয়ে পরিচিত হন হায়দরমহল নামে। তখন শহরের নামও পরিবর্তিত হয় ভাগ্যনগর থেকে হায়দ্রাবাদে।
গোলকুণ্ডা দুর্গের পরিধি ১১ কিলোমিটার। ১৫ মিটার থেকে ১৮ মিটার উঁচু প্রাচীর দিয়ে পরিবেষ্টিত। গ্রানাইট পাথরের তৈরি ৮টি প্রবেশদ্বার ছিল, যার একটার মধ্য দিয়ে আমরা এখানে এলাম। দুর্গের মধ্যে ঢুকেই আমরা প্রথমে থামলাম ‘ফতে দরজা’তে। এখানে হাততালি দিলে সেই শব্দ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ‘দরবার হল’ পর্যন্ত শোনা যায়। জানা যায়, সেই আমলে সঙ্কেতের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা ছিলো। কোন জরুরি বার্তা রাজার কাছে পাঠাবার জন্য এই পদ্ধতির সাহায্য নেয়া হতো। দরজা ছাড়িয়ে এগোতেই প্রাচীন এই দুর্গের বিস্তীর্ণ অংশ চোখের সামনে ভেসে এলো। পর্যটকদের সুবিধার জন্য কোন স্থান থেকে যাত্রা শুরু হবে, কোথায় কী দেখতে পাওয়া যাবে এবং কোনদিক দিয়ে যাত্রা শেষ হবে তার একটা সুন্দর নির্দেশিকা এখানে বোর্ডে দেওয়া আছে। আমাদের বাঁদিকে অস্ত্রাগার ও ডানদিকে নাগিনা বাগ। মাঝখানে পাথরের উঁচু সিঁড়ি ও পাথরের পথ ঘুরে ফিরে দরবার হলের দিকে চলে গেছে।
আমরা পাথুরে সিঁড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে উপরের দিকে এগোতে লাগলাম। পথিমধ্যে কোন কোন জায়গায় একপাশে, কোথাও দুইপাশেই উঁচু দেয়াল। আমরা নাগিনা বাগকে ডানদিকে রেখে চলতে শুরু করলাম। কিছুটা পথ এগোই, মাঝে মাঝে আবার বিশ্রাম। কখনো ক্যামেরায় চোখ রাখি, কখনো নিজের চোখে দেখে এসব ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে অনুভব করি। এইভাবে এগোতে এগোতেই একে একে দেখে নিলাম আক্কন্না মাদন্না (দুই মন্ত্রীর দ্বিতল কার্যালয়), রামদাস জেল, কুতুবশাহি মসজিদ, যেটা সুলতান ইব্রাহিম কুতুবশাহ নির্মাণ করেন। এরপর দেখলাম, বরাদারি-এটি দ্বিতলবিশিষ্ট স্থাপত্য, যার উপর তলা ব্যবহার করা হতো শহরের দৃশ্য দেখার জন্য।
আমরা পাহাড়ের গা বেয়ে একদিক দিয়ে উঠে আবার অন্য দিক দিয়ে নেমে এলাম। পাহাড়ের এক্কেবারে উপরে রয়েছে ১২টি খিলানযুক্ত ত্রিতল দরবার হল। এছাড়াও হারেম মহলসহ নানান মহল। দুর্গের একেবারে উপর থেকে পুরো হায়দ্রাবাদ শহরের একটা সুন্দর দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। দুর্গের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে এভারেস্ট জয়ের চেয়ে কম আনন্দ পাইনি সেদিন!
দুর্গের চারপাশে পরিবেষ্টিত প্রাচীর দুর্গের উপর থেকে পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায়। নামবার সময় আমরা দেখে নিলাম সিলাখানা ও তারামতি মসজিদ। ভগ্নপ্রায় হলেও গোলকুণ্ডা দুর্গের আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমেনি। আজও সামনে থেকে দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়। গোলকুণ্ডার ত্রিকোণ প্রেমের উপাখ্যানে যে কেউ শিহরিত হয়ে ওঠে। তারামতী, কুতুব শাহ আর প্রেমমতীর এক অজানা প্রেমকাহিনী। গোলকুণ্ডা দুর্গের দেওয়ালে আজও ঘুরে বেড়ায় এই প্রেমেরই ছায়া। অতৃপ্ত ত্রিকোণ প্রেম। গোলকুণ্ডা দুর্গ অবশ্য শুরু থেকেই অভিশপ্ত। হিন্দু কাকতীয় বংশের হাতে তৈরি এই দুর্গ যে দিন থেকে প্রথমে কুতুবশাহি সুলতান এবং তার পরে মুঘলদের হাতে গিয়েছে, পরাজয়ের গ্লানি বয়ে আসছে এই দুর্গে। হিংসা আর জয়-পরাজয়ের মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থেকেছে বটে গোলকুণ্ডা, কিন্তু মানবজীবন বিফল হওয়ার অতৃপ্তি ঘুরপাক খেয়েছে দুর্গের ভিতরেই। তার হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়নি গোলকুণ্ডা। সেই তরবারির ঝনঝনির মাঝেই একদিন গোলকুণ্ডা পেয়েছিল সুরের তাড়না। সেই সুর এক দিকে যেমন ঝঙ্কার তুলতো তারামতীর কণ্ঠে, তেমনই ঘুঙুর হয়ে বেজে উঠত প্রেমমতীর পায়ে।
কুতুবশাহি বংশের সপ্তম শাসক আবদুল্লা কুতুব শাহের সময়ে এভাবেই গোলকুণ্ডাকে সুরজালে বেঁধে রেখেছিল দুই সুন্দরী রমণী। তারামতী আর প্রেমমতী। তবে, গোলকুণ্ডাকে ঘুঙুরের ছন্দে বাঁধলেও সুলতানকে বাহুডোরে বাঁধতে পারেনি প্রেমমতী। তার প্রেম থেকে গিয়েছিল নাচমহলের চৌহদ্দিতেই। সুলতান তার প্রেম স্বীকার করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু প্রেমমতীকে স্বীকার করেননি।
সুলতানকে নিজের করে পেয়েছিল শুধু তারামতী। তার গানের টানে সাড়া দিয়েছিলেন কুতুবশাহি শাসক। পরিণাম তারপর বদলে যায় পরিণয়ে। তারামতীকে বিয়ে করে বেগমের মর্যাদা দেন আবদুল্লা কুতুব শাহ। তারামতীর সামান্য গানমহল বদলে যায় বারোটি দরজা সমৃদ্ধ অপরূপ স্থাপত্যে। তার নাম হয় তারামতী বারদ্বারি। প্রেমমতী কিন্তু পড়ে থাকে উপেক্ষা আর অনাদরেই। সুলতান এক সময় ভুলে যায় তার অস্তিত্বের কথাও। যে নাচমহলে সুলতানের সামনে হৃদয়ের সবটুকু উজাড় করে নিজেকে অর্পণ করতো প্রেমমতী, সেখানেও ধুলো জমায়।
সুলতানের সবটুকু প্রেম আর ভালোবাসা নিয়ে বিরাজ করছে শুধু তারামতীই! প্রেমমতী তারপর আর অপেক্ষা করেনি। অভিমান তাকে নিয়ে যায় স্বেচ্ছায় মৃত্যুর পথে। আত্মহত্যা করে ব্যর্থ প্রেমের জ্বালা জুড়ায় প্রেমমতী। কিন্তু, তার অতৃপ্ত আত্মা আজও প্রাসাদ ছেড়ে যায়নি। সন্ধ্যা হলেই প্রাসাদের আনাচে-কানাচে শোনা যায় প্রেমমতীর ঘুঙুরের শব্দ। তবে, ত্রিকোণ প্রেম যে শুধু একজনকেই পোড়ায়, তা নয়! প্রেমমতী চলে যাওয়ার পরে হয়তো সুখেই ছিল বেগম তারামতী, তার প্রাণপ্রিয় সুলতানের সঙ্গে। কিন্তু, সেই সুখ মিশে ছিল চোখের জল আর রক্তের দাগে। তাই, মৃত্যুর পরে গোলকুণ্ডা ছেড়ে যেতে পারেনি তারামতীও। আর, তারামতীকে ছেড়ে যাননি সুলতান আবদুল্লা কুতুব শাহ! তবে জীবনে না হলেও মৃত্যুর পরে প্রেমমতীর পাশে থাকতে পেরেছে তারামতী। দুর্গের ঠিক পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে তারামতী আর প্রেমমতীর সমাধি। দুর্গের ভিতরেই সমাধিস্থ করা হয় তাদের নশ্বর দেহকে। কিন্তু, প্রেম বয়ে চলে জীবন থেকে মৃত্যুর ধারায়। শরীর শেষ হয়ে গেলেও প্রেম আজও দুর্গের দেয়ালে মাথা কুটে মরে।
সে জন্যই সূর্য ডুবলে গোলকুণ্ডা দুর্গে আর কাউকে থাকতে দেওয়া হয় না। একটা সময়ে যখন সূর্যাস্তের পরেও যাওয়া যেত দুর্গের ভিতরে, সেই সময়ে অনেক আশ্চর্য ঘটনাই প্রত্যক্ষ করেছে পর্যটকরা। তাদের কানে এসেছে গলা সাধার আওয়াজ। সেই সুর ধরে এগোতে এগোতে এক সময়ে দুর্গের গভীরে হারিয়ে গিয়েছেন পর্যটকরা, কিন্তু কারও দেখা মেলেনি। সেই সুর শোনার পরে অনেক কষ্ট করে তাদের চিনতে হয়েছে দুর্গের বাইরে যাওয়ার রাস্তা। আজও সন্ধ্যার পরে শোনা যায় প্রেমমতীর ঘুঙুরের বোল। কখনও সেই ঘুঙুর নীরব হয়ে যায়, আবার কখনো ভেসে আসে চাপা কান্নার আওয়াজ। সেই আওয়াজ ধরে এগোতে গিয়ে অনেকে দুর্গের দেওয়ালে প্রেমমতীর ছায়াও দেখেছেন। অনেক সময় আবার শুনতে পেয়েছেন রাগের মাথায় বাসন ছুড়ে ফেলার শব্দ। কবুতরখানার পাশে হামেশাই এমন শব্দ শোনা যায়। আসলে, কাউকে প্রাণ ঢেলে ভালোবাসা যে সব সময়েই কষ্টের। কষ্টের সেই মানুষটিকে কখনই নিজের করে না পাওয়া। সেই তাড়নাতেই আজও গোলকুণ্ডায় ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় প্রেমমতীর অতৃপ্ত আত্মা।
সে জন্যই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে কেউ আর থাকেন না গোলকুণ্ডায়। আপনি কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন গোলকুণ্ডা থেকে। দিনের বেলায় ঘুরে দেখুন তারামতী বারাদ্বারি, প্রেমমতীর নাচমহল। একটু সময় নিয়ে থাকুন সেখানে। অনুভব করুন তাদের ত্রিকোণ প্রেম। কে জানে, বহু যুগ পরে আপনার এই অনুভব, সহানুভূতি আর দীর্ঘশ্বাসই হয়তো একমাত্র প্রাপ্তি হবে তারামতী, সুলতান আবদুল্লা কুতুব শাহ আর প্রেমমতীর!
গোলকুণ্ডার নান্দনিক স্থাপত্য আর জানা-অজানা ইতিহাস-ঐতিহ্যের এই ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে দেখতে প্রায় সূর্য অস্তাচলে। সন্ধ্যার পর এখানকার মূল আকর্ষণ ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ শো। প্রথম শো’টা ইংরাজিতে হয়, সময় মার্চ থেকে অক্টোবর সন্ধ্যে ৭টায় এবং বছরের বাকি সময় ৬.৩০ মিনিট থেকে। গোলকুণ্ডা দুর্গে ঘোরাঘুরির জন্য আদর্শ সময় নভেম্বর থেকে মার্চে। শুক্রবার বাদে সব দিন সকাল ৯.৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দিনের শেষে বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই আমরা আবার অটোতে চেপে গন্তব্যে রওয়ানা দিলাম। হায়দ্রাবাদের অজানা ইতিহাস আর গোলকুণ্ডা দুর্গের অতৃপ্ত দর্শনের তৃপ্তি না মেটাতেই আপন নীড়ে ফেরার করুণ বীণ বেজে উঠলো হৃদয় কোণে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের খোঁজে হায়দ্রাবাদ ভ্রমণের পুরো পিপাসা মেটাতে আগ্রহ আর আকাক্সক্ষার রেশ আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। সময় সুযোগ পেলে আবারো হায়দ্রাবাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অজানা কাহিনী নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হবো।