ইতিহাসের কয়েকটি ভারবাহী গর্দভ আমার ঈদের চাঁদ
আড়াল করে দাঁড়িয়েছিল। শিল্পকলা একাডেমির
প্রশাসনিক গোল ইমারতের বাইরে
পৃথিবী থেকে অনেক দূরে যেখানে মেঘের গোল-গম্বুজ
অকস্মাৎ সেখানে হযরত আলীর খঞ্জরের মতো
ঝলসে উঠলো আমার ঈদের চাঁদ।
এক হাজার টাকার একটি চেকের চেয়েও হাল্কা
বাতাসে আমার চুল এলোমেলো হয়ে গেল।
আশেপাশে কোনো মানুষজন না দেখে
আমি লাইটপোস্টের গায়ে হাত রাখতে রাখতে
বললাম, ঈদ মোবারক।
সাথে সাথে ঢাকা মহানগরী এক আপার্থিব জ্যোৎস্নায়
ঝলসে গিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে গেলে
পশ্চিম আকাশ থেকৈ মে’রাজের ঘোড়ার মতো
নেমে এসে আমার সামনে নূহের নৌকার
মতো দুলতে লাগলো- ঈদের চাঁদ। আর আমি
আমার সন্তানদের ঈদের পোশাক কিনতে
সন্দ্বীপের মাঝিদের মতো মাস্তুল দুলিয়ে
নক্ষত্রের বাজারের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।